
অনলাইন ডেস্কঃ চলচ্চিত্র নির্মাতা সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার আসন্ন ছবি ‘স্পিরিট’ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোন। যদিও প্রথমদিকে জানা গিয়েছিল, শুটিং শিডিউল ও পারিশ্রমিক সংক্রান্ত জটিলতার কারণেই তিনি প্রজেক্টটি ছেড়েছেন, তবে পরিচালক ভাঙ্গার এক রহস্যময় এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন গুঞ্জন।
ভাঙ্গা তার পোস্টে নাম না করে প্রশ্ন তোলেন, “এটাই কি নারীবাদের পরিচয়?” যা অনেকেই দীপিকাকেই উদ্দেশ করে বলা মন্তব্য হিসেবে দেখছেন। আরও বিস্ফোরকভাবে তিনি দাবি করেন, একজন অভিনেত্রী নাকি ‘স্পিরিট’-এর চিত্রনাট্য ফাঁস করেছেন এবং এক তরুণ অভিনেত্রীকে ‘ছোট’ করেছেন। বলিপাড়ায় জোর আলোচনা, ওই তরুণ অভিনেত্রী হলেন তৃপ্তি দিমরি, যিনি সম্প্রতি দীপিকার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন এই ছবিতে।
ভাঙ্গা আরও লেখেন, “আমি যখন কোনো অভিনেতাকে গল্প শোনাই, তখন ধরে নিই আমাদের ভেতর একটি অলিখিত নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট আছে। কিন্তু আপনার কাজ আপনার প্রকৃত পরিচয় সামনে নিয়ে এসেছে। একজন নবাগত অভিনেত্রীকে হেয় করা ও গল্প ফাঁস করা— এটাই কি নারীবাদের পরিচয়?”
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “একজন নির্মাতা হিসেবে আমি বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম করি। সিনেমা আমার সবকিছু। কিন্তু আপনি এটা বুঝবেন না, আপনি এটা কোনোদিনও বুঝবেন না।”
এছাড়া, দীপিকার এই সরে দাঁড়ানোর ঘটনাকে ‘নোংরা পিআর গেম’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন ভাঙ্গা। তার ভাষায়, “পরেরবার পুরো গল্পটা বলো, কারণ আমার কিছু যায় আসে না।” পোস্টের শেষে তিনি একটি হিন্দি প্রবাদ লেখেন, “খুন্দাক মে বিল্লি খাম্বা নোচে।” (অর্থাৎ, রাগে বিড়াল খুঁটি আঁচড়ে দেয়।)
এই টুইটের পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে চলছে জোর আলোচনা। অনেকেই মনে করছেন, ভাঙ্গার মন্তব্যগুলো সরাসরি দীপিকাকে উদ্দেশ করেই করা।
উল্লেখ্য, ‘স্পিরিট’ সিনেমা সংশ্লিষ্ট একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি অনুযায়ী, দীপিকা দিনে ছয় ঘণ্টার বেশি শুটিং করতে রাজি ছিলেন না। পাশাপাশি, তার ম্যানেজমেন্ট সংস্থা চুক্তিতে এমন সংশোধনের দাবি তোলে যাতে বলা হয়, ১০০ দিনের বেশি শুটিং হলে অতিরিক্ত প্রতিদিনের জন্য তাকে বাড়তি পারিশ্রমিক দিতে হবে। এসব কারণেই নাকি তাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।