
আকাশ সরকার, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাগমারার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বারুইপাড়া গ্রামের লাঠিয়াল বাহিনী ও তাদের প্রধান একাধিক মামলার আসামি সেনামুল হকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। চাঁদাবাজি, হামলা ও জমি দখলের কবল থেকে বাঁচতে দ্রুত লাঠিয়াল বাহিনীর প্রধান সেনামুল হকসহ তার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার এবং তাদের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সোমবার সন্ধ্যায় বাঙ্গাল বাজার সংলগ্ন সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে বারুইপাড়া ও বিলবাড়ী গ্রামের লোকজন এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। মানববন্ধন শেষে সড়কের তিন মাথার মোড়ে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তাদের অভিযোগ:
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন শুভডাঙ্গা ইউপির সদস্য জাফর আলী, ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছামান আলী, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, বারুইপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি ফসির উদ্দিন, হিসাব রক্ষক এবাদুর রহমান, ব্যবসায়ী বিপ্লব হোসেন, এবং লাঠিয়াল বাহিনীর হামলার শিকার আনিছুর রহমান, উজ্জল হোসেন ও টিপু সুলতান প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, বাগমারার কারাবন্দি সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের সহচর সেনামুল হক এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে সম্প্রতি এনামুল হক, মাহাবুর, আতাউর, শরিফুল ও সুজন মাহমুদসহ ২০-২৫ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে নিয়ে একটি লাঠিয়াল বাহিনী গঠন করেছেন। এরপর থেকেই এই লাঠিয়াল বাহিনীর সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করছে।
পঙ্গুত্বের শিকার ১৫ জন:
বক্তারা জানান, লাঠিয়াল বাহিনীর হামলার শিকার হয়ে এ পর্যন্ত বারুইপাড়া গ্রামের শামশুল হক, জয়নাল আবেদীন, মাসুদ ও নাজিমুদ্দিনসহ প্রায় ১৫ জন ব্যক্তি হাত-পা ভেঙ্গে বর্তমানে পঙ্গুত্বের জীবন কাটাচ্ছেন। সর্বশেষ, গত রোববার রাতে চাঁদা না দেওয়ায় বাঙ্গাল বাজারে টিপু সুলতানের মাথায় প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
লাঠিয়াল বাহিনীর প্রধান সেনামুল হকসহ তার দলের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হামলা, মারপিট, জমি দখল ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। তারা দ্রুত এই সন্ত্রাসী বাহিনীর কবল থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

