সুস্থ শরীরের চাবিকাঠি অনেকাংশেই নির্ভর করে নিয়মিত ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসের ওপর। তাই স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন যারা, তারা জানেন—খাবারের পরিমাণ ও পুষ্টিগুণ বুঝে, সময়মতো ঠিক কী খাচ্ছেন, সেটাই আসল। কেউ খাদ্যে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ান, কেউ আবার কমিয়ে দেন অতিরিক্ত শর্করাজাতীয় খাবার। আবার অনেকেই প্রতিদিনের খাবারে প্রয়োজন অনুযায়ী ভিটামিনযুক্ত উপাদান যোগ করেন।
তবে শুধু কী খাবেন তা নয়, কোনভাবে খাবেন সেটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিনের খাবারে যদি সঠিকভাবে সালাদ যুক্ত করা যায়, তা খাওয়ার অভ্যাসে আশ্চর্যজনক ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।
সালাদ খাওয়ার সময় বদলান
সাধারণত দুপুর বা রাতের ভারী খাবারে ভাত-রুটি, ডাল, তরকারি, সবজি, আর শেষে সালাদ খান অনেকে। আবার অনেকের প্রতিদিন সালাদ খাওয়ার অভ্যাসই নেই। কিন্তু যদি খাওয়ার আগেই এক বাটি সালাদ খাওয়া যায়, তাহলে তার সুফল অনেক বেশি।
এই সালাদে শসা, টমেটো, পেঁয়াজ, গাজর, ধনেপাতা বা লেটুস থাকতে পারে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন—এমন যারা, তাদের জন্য এই অভ্যাস বিশেষভাবে উপকারী।
সালাদ কিভাবে উপকার করে?
শরীরে খাবারের প্রভাব অনেকটাই নির্ভর করে রক্তে শর্করার মাত্রা ও ইনসুলিনের কার্যকারিতার ওপর।
হঠাৎ রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া ডায়াবেটিক রোগীদের পক্ষে যেমন ক্ষতিকর, তেমনই অন্যদের ক্ষেত্রেও এটা বাড়তি ক্ষুধা ও অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
খাবারের আগে এক বাটি সালাদ খেলে শরীরে বেশি পরিমাণ ফাইবার যায়। এতে পেট তাড়াতাড়ি ভরে। ফলে পরে শর্করাজাতীয় খাবার খেলেও রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ে। এটা শুধু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেই নয়, ওজন কমাতেও খুব কার্যকর। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা